Sunday, April 18, 2021

রোজা ও ডায়বেটিস নির্দেশনা : রমজানে ডায়বেটিস রোগী কি কি খেতে পারবে জেনে নিন

ডায়বেটিস ও রোজা নিয়ে নির্দেশনা ২০২১

রমজান মাসে একজন ডায়াবেটিস রোগীর কী খাওয়া বা খাওয়া উচিত?


আজকের বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মুসলমান রমজান মাসের চন্দ্র মাসে রোজা রাখে। রমজানে খাবার ও পানীয়ের পরিমাণ এবং সময় পরিবর্তনের কারণে একজন ডায়াবেটিস রোগী বিভিন্ন ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারেন। যেমন হাইপোগ্লাইসেমিয়া (নিম্ন রক্তে গ্লুকোজ স্তর) বা হাইপারগ্লাইসেমিয়া (উচ্চ রক্তে গ্লুকোজ স্তর), ডিহাইড্রেশন। যদি আপনার রক্তে গ্লুকোজ স্তর / ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে রোজা আপনার পক্ষে নিরাপদ। কিছু সতর্কতা রয়েছে যা আপনাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। উদাহরন স্বরূপ:
1. সেহরি অবশ্যই করতে হবে তবে একেবারে শেষ মুহুর্তে সেহরি করে নেওয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি সেহরি রাত ৩:২০ থেকে শুরু হয় এবং ভোর ৫:১০ এ শেষ হয়, তবে আপনার ৪:৪০ থেকে ৫:১০ এ খাওয়া উচিত।
2. রামদানের সময় রোজা ভাঙার জন্য খাবারের সময় উচ্চ শর্করা উপাদানযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
3. রাতের খাবার শেষে দেরিতে একটি উপযুক্ত নাস্তা খান।
4. রামদানের সময় প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস জল পান করুন।
5. এন্ডোক্রাইনোলজিস্টে অথবা হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ এবং ইনসুলিন শট নিন।
6. রোযা রাখেন না রাখবেন না তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন ও শরীর চেক আপ করে নিন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রোজা রাখা নিরাপদ কি?
নিয়ন্ত্রনে রয়েছে টাইপ 2 ডায়াবেটিস মেলিটাসে এ রোজা রাখা নিরাপদ তবে টাইপ 1 ডায়াবেটিস মেলিটাসে নিরাপদ নয়। অনিয়ন্ত্রিত যেকোন ডায়বেটিস এ রোযা রাখা নিরাপদ নয়। এছাড়াও ডায়বেটিস এর সাথে যারা অন্যান্য কম্পলিকেশন রয়েছে, নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয় তাদের জন্যে রোযা রাখা নিরাপদ। যেসকল রোগীর হঠাৎ করে ব্লাড সুগার নিচে নেমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া ডেভলপ করে, তাদের জন্যে ডায়বেটিস নিয়ে রোযা রাখা নিরাপদ নয়।

ডায়বেটিস নিয়ে রমাজানের রোজায় কারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে

রমজান শুরুর আগে তিন মাসের মধ্যে অত্যধিক নিম্ন মাত্রার রক্তের গ্লুকোজ, প্রায়শই রক্তের গ্লুকোজ হ্রাস করার প্রবণতা সহ,অজ্ঞান হওয়ার ইতিহাস এবং রমজানের শুরুর তিন মাসের মধ্যে উচ্চ অ্যাসিডিটি রোজা হওয়ার আগে যদি অতীত ঘটনাগুলি থাকে তবে ঐসব রোগীদের জন্যে রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া, রমজান শুরুর তিন মাস আগে বা আপনি গর্ভবতী হয়ে থাকলে রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে গেলে রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু তাই নয়, যারা অতিরিক্ত শারিরীক পরিশ্রম করেন যেমন শ্রমিক, রিকশা চালক, গৃহকর্মী, কিডনি রোগী (যাদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হয়), ডায়াবেটিস জটিলতায় আক্রান্ত অসুস্থ এবং বয়স্ক রোগীদের ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে, অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা - জ্বর, ডায়রিয়া ইত্যাদি। তবে তাদের জন্যেওবরোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রমজানে রোজা না রাখাই ভাল। যদি কেউ রোজা রাখতে চায় তবে তাকে অবশ্যই ডাক্তারের অনুমতি নিতে হবে।

ডায়বেটিস রোগিদের রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে করণীয়:


চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে রক্তের শর্করা, রক্তচাপ এবং রক্তের ফ্যাট এর স্তরগুলি পরিমাপ করে ডায়বেটিস সহ অনিয়ন্ত্রিত স্তর নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা উচিত। রমজান খাবারের পরিমাণ,খাদ্য তালিকা এবং সময়সূচি, ওষুধ এবং ইনসুলিনের পরিমাণ ডাক্তার দ্বারা ভালভাবে বুঝে নেওয়া উচিত।

ডায়বেটিস রোগিদের রমজানে করণীয়:
ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই রমজানে খাওয়া-দাওয়া সম্পর্কে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। এটি রমজান মাসে সাধারণত তিনবার খাওয়া হয়। তা হ'ল ইফতার, ডিনার এবং সেহেরি।

ইফতার কেমন হবে?
শরবত হ'ল খুব গুরুত্বপূর্ণ পানীয় যা ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে এবং দেহের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে। ইসুবগুল, টোকমা, লিচু, কাঁচা আম কাদবেল তামারিন্ড সিরাপ বিকল্প চিনি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। অথবা একটি ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে।
সাধারণ ইফতার এর কি কি রাখা যায় তার একটি নমুনা:
ভাজা ছোলা - ১/২ কাপ,
পেঁয়াজু -২ পিছ,
বেগুনি ২ পিছ,
মুরি- দেড় কাপ,
খেজুর- ১ পিছ,
শসা, গাজর ইত্যাদি ইচ্ছামতো।
পানির পরিমাণ পরিমাণ মত।

ইফতার এর পরে অর্থাৎ রাতের খাবার

ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে রাতের খাবারটি একেবারেই বাদ দেওয়া উচিত নয়। এই খাবারটি অন্য সময়ের রাতের খাবারের সমান হবে। রাত হলে ভাত/রুটি খাওয়া যায়। তবে প্রত্যেকের নিজের বরাদ্দ অনুযায়ী খাবারের পরিমাণের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।রাতে হালকা মশলা দিয়ে যে কোনও ছোট এবং বড় মাছ এবং শাকসব্জি রান্না করা ভাল।

সেহরির খাবার কেমন হবে?
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সেহেরির শেষ মুহুর্তে সেহেরি খাওয়া ভালো সময়। এটি দিনের শেষে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি হ্রাস করবে। সেহরিতে রুটি বা ভাত পছন্দ মতো নেওয়া যায়। সেহেরি অন্যান্য দিনের দুপুরের খাবারের মতো একই পরিমাণে খাওয়া উচিত,। মাংসের পরিবর্তে ডিম খাওয়া যেতে পারে। এক কাপ দুধ সেহরিতে খাওয়া যায়।

লেখক:
নোমান ইসলাম নিরব
এমবিবিএস, রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর, ব্লগার ও প্রতিষ্ঠাতা Doctors Gang. 

Tuesday, April 6, 2021

মেডিকেলে এমবিবিএস ১ম বর্ষের জন্যে যেসব বই পড়তে হবে

এমবিবিএস ১ম বর্ষের জন্যে যেসব বই পড়তে হয় 

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ার পর, এমবিবিএস ১ম বর্ষে ভর্তি হলেই, শুরু চিকিৎসক হওয়ার নতুন যাত্রা। এ যাত্রায় মেডিকেল ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বইব পড়তে হয় তার মধ্যে তিনটি মেজর বই।

  1. অ্যানাটমি 
  2. ফিজিওলজি 
  3. বায়োকেমিস্ট্রি 
এই বই গুলোর আরো অনেক বই রয়েছে এগুলো জানতে নিচের ভিডিও টি দেখে নিন।অন্যদিন সময় করে আরো বিস্তারিত লিখবো।






লিখেছেন: নোমান ইসলাম নিরব 

Labels: , ,

প্রাইভেট মেডিকেল নিয়ে যেসব প্রশ্ন কমনলি করা হয় : চলুন জেনে নিই

প্রাইভেট মেডিকেল নিয়ে যেসব প্রশ্ন কমনলি করা হয়

প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ পড়ার খরচ নিয়ে বলেছেন - নোমান ইসলাম নিরব


এবার এমবিবিএস কোর্স এর ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে প্রায় ৪৯,৯৭৫ জন এর কাছাকাছি স্টুডেন্টস।

বেসরকারি মেডিকেল কলেযে সিট আছে ৬ হাজার এর মত সিট রয়েছে। তার মধ্যে ২০০০-২৫০০ বিদেশি স্টুডেন্ট ভর্তি হয়।তাহলে দেশীয় স্টুডেন্টস এর জন্য ৩৫০০-৪০০০ এর মত সিট রয়েছে।
তাই সবাই চাইলেও প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেনা এজন্যে নিজের পয়েন্ট বিবেচনা করে ফরম তুলবে।যেটাতে পসিবল না সেটার পিছনে ঘুরাঘুরি করে সময় নস্ট করলে পরে সিট ই পাওয়া যাবেনা কোথায়। তাই স্কোর দিয়ে যে গুলোতে পসিবল সে গুলোতে ফরম তুলবে। আমার পরামর্শ থাকবে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ টা মেডিকেল থেকে ফরম তুলবে।সম্ভব হলে আরো বেশি ফ্রম তুলতে পারো। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি নিয়ে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট অথবা ইনবক্স করতে পারো।

প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ নিয়ে যেসব প্রশ্ন বারবার করা হয় 

প্রশ্ন ১ঃ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে কি আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হয়?
উত্তরঃ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্যে আলাদা কোন ভর্তি পরীক্ষা হয় না। সরকারি মেডিকেলের জন্য যে ভর্তি পরীক্ষা হয় সেই রেজাল্ট থেকে ভর্তি করা হয়। সরকারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অর্থাৎ ৪০ মার্ক্স পেতেই হবে, না হলে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ভর্তি হওয়া যাবেনা, মার্ক্স যত ভালো হবে তত ভালো প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবে।

প্রশ্ন ২ঃ কত মার্ক পেলে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবো?
উত্তরঃ মেডিকেল এডমিশন টেস্ট এ মিনিমাম 40 মার্ক পেলে ভর্তি হতে পারবে,তবে মার্ক যত ভালো হবে, তত উপরের সারির মেডিকেল গুলাতে ভর্তির সুযোগ ততো বেশি থাকে।

প্রশ্ন ৩ঃ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে বর্তমান আসন সংখ্যা কত?
উত্তরঃ 7300 এর মত।

প্রশ্ন ৪ঃ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়তে খরচ কত হয়?
উত্তরঃ সর্বমোট 24 থেকে 26 লাখ টাকা খরচ হয়, তবে এর থেকে বেশি খরচ হাতে মানুষ ভেদে।

প্রশ্ন ৫ঃপ্রাইভেট মেডিকেলে দরিদ্র ও মেধাবী কোটা কি?
উত্তরঃ প্রতিটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এ ৫% দরিদ্র ও মেধাবী কোটায় ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্নঃবেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়তে ভর্তি ফি কত হয়?
উত্তরঃ বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি ফি 18/19 লক্ষ টাকা। প্রতি মাসে মাসিক বেতন 8 থেকে 10 হাজার টাকা। সুতরাং ৫ বছরে মোট খরচ 4 লক্ষ 80 হাজার থেকে 6 লক্ষ টাকা। চারটা প্রফেশনাল পরীক্ষায় ফ্রম ফিলাপ ফি সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকা। বই-খাতা ও অন্যান্য খরচ বাবদ সর্বোচ্চ 1 লক্ষ টাকা।
সর্বমোট 24 থেকে 26 লক্ষ টাকা।

তবে যাদের মেরিট পেছনের দিকে থাকে তাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি খরচ হতে পারে।

প্রাইভেট মেডিকেলে ফর্ম বিতরণ ও ভর্তি প্রক্রিয়াঃ


প্রাইভেট মেডিকেলে আসন 6000 এর মত। এর বিপরীতে ভর্তিযোগ্য প্রার্থী ৪৮ ৯৭৫ জন।
সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি ফরম বিতরণ শুরু হবে। এই ফরমের সাথে কোটার ফরম ও তুলতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে কোটার ভর্তি প্রক্রিয়া সব শেষে শুরু হবে।
স্ব স্ব মেডিকেল কলেজ তাদের আসন সংখ্যা উল্লেখ করে মেডিকেল কলেজের নোটিশ বোর্ড, ওয়েবসাইটে এবং দৈনিক পত্রিকায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। ফর্ম কেনার পর যাবতীয় তথ্যাদি পূরণ করে ফর্ম জমা দিতে হয় ঐ মেডিকেলে। ফর্মের সাথে মেডিকেল অ্যাডমিশন রেজাল্টের কাগজ, এসএসসি, এইচএসসির মার্কশিট, সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে । ফর্ম বিক্রির পর শুরু হয় নির্বাচনী প্রক্রিয়া।ফর্ম জমা নেয়ার পর কয়দিন পর কলেজের নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হয় ঐ সব নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের নাম ও রোল। ফোন করে জানানো হয় সবাইকে। ১/২ দিনের মাঝে টাকা জমা নিয়ে ভর্তি করানো হয় যদি নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের তালিকায় আপনার নাম থাকে। ভর্তির সময় টাকার সাথে আপনার এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট রেখে দেয়া হবে আপনার মেডিকেলে। এবার এডমিশনে অনেক চাপ। অনেক সময়, মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্টের রেজাল্টের সিরিয়াল পেছনে থাকলে আপনি ১-২টি মেডিকেলে নির্বাচিত নাও হতে পারেন ভর্তির জন্য। যত বেশী মেডিকেলের ফর্ম তুলবেন, ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকে । তবে লোভের বশবর্তী হয়ে ভর্তিতে বেশি দেরি করে ফেলোনা আবার তখন সিটের অভাবে ভালো স্কোর নিয়েও দেখা যাবে আর মেডিকেলে পড়া হচ্ছেনা।

এখানে কোন ভুল থাকলে অবশ্যই জানাবেন।
আরো কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানান, আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। 

Labels:

Monday, April 5, 2021

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স না পেলে কি করবে | কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যে প্রস্তুতি নিবে

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা চান্স না পেলে তুমি কি করবে : চলুন জেনে নেই 

মেডিকেলে চান্স না পেলে তুমি যেসব ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে?
এ বিষয় নিয়েই আজকে আমার এই আর্টিকেল।

মেডিকেল প্রিপারেশন দিয়েই যেসব জায়গায় পরীক্ষা দিতে পারো

  1. ডেন্টাল কলেজ
  2. এএফএমসি (আর্মি মেডিকেল কলেজ) 
  3. সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
  4. জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ডি ইউনিট(বায়োলজি ফ্যাকাল্টি) 
  5. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিট(বায়োলজি ফ্যাকাল্টি) 
  6. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ও ঘ ইউনিট
  7. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

উপরোক্ত জায়গায় পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করে নাও, তুমি অযোগ্য নও, আল্লাহ হয়ত তোমাকে ডাক্তার হিসেবে কবুল করেনি,হয়ত অন্য কোথায় তোমার জন্যে বেস্ট কিছু রয়েছে।

উপরোক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর জন্যে কিভাবে পারতে হয় তার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন আমার ওয়েবসাইটে :

সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে যেসব পড়তে হবে
নেটওয়ার্ক গাইড
বিগত সালের প্রশ্ন
বায়োলজি মেডিকেল প্রিপারেশন ই যথেষ্ট
কেমিস্ট্রি মেডিকেল প্রিপারেশন ই যথেষ্ট
উচ্চতর গণিত ঃ সরলরেখা,বিন্যাস, সমাবেশ,অন্তরিকরণ, স্থিতিবিদ্যা,কৌনিক ও দ্বিপদী বিসতৃতি।

পদার্থ বিজ্ঞান : প্রতিটি মূল বইয়ের শেষে যে গাণিতিক এমসিকিউ থাকে সেগুলো ভালো করে সলভ করবে, কেননা পদার্থ বিজ্ঞানের ২০ টি প্রশ্নের মাঝে ১০-১৫ টি হয় ম্যাথ।

ডেন্টাল (বিডিএস) এডমিশন 

ডেন্টাল এডমিশন এর জন্যে যেসব পড়তে হবে
1. মেডিকেল

জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে যেসব পড়তে হবে
1. মেডিকেল প্রিপারেশন ই যথেষ্ট
2. বিগত সালের প্রশ্ন
3. আইকিউ
ডি ইউনিটের মার্ক ডিস্টিবিউশন-
উদ্ভিদবিজ্ঞান-২২
প্রাণীবিজ্ঞান-২২
রসায়ন-২৪
বাংলা ও ইংরেজি-৮
আইকিউ-৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটএর জন্যে যেসব পড়তে হবে
1. মেডিকেল প্রিপারেশন ই যথেষ্ট
2. বিগত সালের প্রশ্ন 




(এই লেখাটির কাজ চলতেছে তিনদিন পরে সম্পুর্ন হবে)

আপনাদের কোন কিছু প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন, আমি সময়মত উত্তর দিবো।বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

লেখক:
নোমান ইসলাম নিরব 
রংপুর মেডিকেল কলেজ 




Labels: , ,

Saturday, April 3, 2021

Higher Study of Doctors and Medical Students of Bangladesh

Career Guide for Doctors :ডাক্তার, মেডিকেল স্টুডেন্ট দের উচ্চতর ডিগ্রি ও ক্যারিয়ার ভাবনা

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের জন্যে উচ্চশিক্ষা


বাংলাদেশে উচ্চতর ডিগ্রি

FCPS: বিসিপিএসের অধীনে এফসিপিএস ও এমসিপিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো বাংলাদেশের চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রিগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত। এফসিপিএস পরীক্ষায় দুটি পার্ট—পার্ট-১, পার্ট-২। পার্ট-১ বছরে দুবার অনুষ্ঠিত হয়। পার্ট-১ শেষ করার পর চার বছর ট্রেনিং করে পার্ট-২-এ অংশ নিতে হয়।

MCPS পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য গ্র্যাজুয়েশনের পর অন্তত চার বছর ট্রেনিং সম্পন্ন করে আবেদন করতে হয়। এমসিপিএস পরীক্ষায় ব্রিটেনের এমআরসিপি বা এমআরসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
A guide to MCPS degree below the post

MS/MD: এমবিবিএস পাসের দুই বছর পর এমএস বা এমডি করার জন্য আবেদন করতে হয়। বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতাল ও প্রথম সারির মেডিকেল কলেজগুলোয় এ কোর্স করা যায়।

MPH: এনআইপিএসওএম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি, এনএসইউ, নর্দান ইউভার্সিটি ও এআইইউবি থেকে এ ডিগ্রি নেওয়া যায়। ডব্লিউএইচওসহ বিভিন্ন এনজিওর চাকরির ক্ষেত্রে এই ডিগ্রিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে ডিপ্লোমা ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলোতে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ রয়েছে।

বিদেশে উচ্চতর শিক্ষা

USMLE: ইউএসএ তে বিভিন্ন বিষয়ে ডাক্তারি করতে লাইসেন্স পেতে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। ইউএসএমএলইর তিনটি ধাপ—ধাপ-১, ধাপ-২ (সিকে, সিএস), ধাপ-৩। ধাপ-১, ধাপ-২ (সিকে) পরীক্ষার দুটি কেন্দ্র বাংলাদেশে আছে। ধাপ-২ (সিএস) ও ধাপ-৩-এর পরীক্ষা ইউএসএতে দিতে হয়। তিনটি ধাপ সম্পন্ন করার পর এমডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, শিক্ষানবিশ থাকাকালে আপনি সম্মানী পাবেন।
Medical Book Pdf download and BCS guidelines for Doctors in Bangladesh

AMC: অস্ট্রেলিয়ায় ডাক্তারি করার জন্য এ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এ পরীক্ষার দুটি পার্টের মধ্যে প্রথম পার্টের পরীক্ষার কেন্দ্র ভারতে আছে।

PLAB: ব্রিটেনে ডাক্তারি করতে এ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।

এমআরসিপি বা এফআরসিএস: বিশ্বস্বীকৃত সর্বোচ্চ সম্মানজনক ডিগ্রি। ব্রিটেনের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস থেকে এ ডিগ্রি দেওয়া হয়। এমআরসিপি বা এফআরসিএসের পরীক্ষার কেন্দ্র বাংলাদেশে আছে।
এ ছাড়া কানাডা (এমসিসি), সৌদি আরব, ইরান, নিউজিল্যান্ডসহ প্রভৃতি দেশে বাংলাদেশি চিকিৎসকেরা উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি ডাক্তারি করতেও যাচ্ছেন।
FCPS Syllabus, FCPS/MD /Dilpoma/MPH guidelines 



Labels: , ,