Friday, December 10, 2021

সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ ২০২২ - মো: নোমান ইসলাম নিরব

সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ 

সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ


মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পর ভর্তির জন্য লাগতে পারে ১০-২০ হাজারের মধ্যে।বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন হয়।আমি শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজে চান্স পাই ২০১৬ সালের ভর্তি পরীক্ষায়। আমার তখন ভর্তি হতে লেগেছিল ১২ হাজার। বাসা দিনাজপুর হওয়ার মাইগ্রেশন করে রংপুর মেডিকেল কলেজে চলে আসি এতে আবার ভর্তি হতে ১৪০০০ টাকা খরচ হয়। এবার আসি প্রতি বর্ষে বা প্রফে কেমন খরচ হয়।মেডিকেল এ পড়ার সিস্টেম টা সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মত নয়। পাচ বছরের শিক্ষাব্যবস্থাকে চারটি ফেজ এ ভাগ করা হয়। অর্থাৎ চার বার ফ্রম ফিলাপ করতে হয় এবং চারবার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে হয়, যেগুলো প্রফেশনাল পরীক্ষা বলা হয়। আমরা প্রফ হিসেবে কেমন খরচ হয় তা আলোচনা করব। প্রথমেই বলে রাখি। একেকজনের খরচ একেক রকম হবে, ব্যাসিক এবং সীমিতভাবে চললে কিরকম খরচ হতে পারে সেইটাই ধারণা দেওয়ার চেস্টা করব। মানুষভেদে কিছু কমবেশি হতে পারে।  যাদের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস তারা কিভাবে চলবে সে বিষয়েও বলব।

১ম ফেজ এর খরচ

সময়: ১.৫ বছর/১৮ মাস
বই,খাতা,ও নোট : আনুমানিক ৫-৬ হাজার টাকা, সব বই একেবারে কেনা লাগবেনা, আস্তে আস্তে কেনা যাবে।
বোনস /কঙ্কাল বাবদ খরচ:
আনুমানিক ৩০-৪০ হাজার, পরবর্তী বছরে কিছু কম/বেশি করে বিক্রি করে দেওয়া যাবে।
মাসিক খাওয়া দাওয়া খরচ: আনুমানিক ৪০০০ (১৮ মাসে ৭২ হাজার টাকা), যারা হোস্টেল এ খায়, হোস্টেল এ প্রতি মিল ৫০ টাকা করে, দিনে দুটি মিল ১০০ টাকা, আর ২৫ - ৫০ টাকার নাস্তা।
হোস্টেল ফি: সরকারি মেডিকেল কলেজে লাগেনা,যারা আলাদা বাসা/ম্যাচ নিয়ে থাকবে তাদের ক্ষেত্রে সেটা অতিরিক্ত খরচ হবে।
ফ্রম ফিলাপ: ৮-১০ হাজার টাকার মত
১ম ফেজে সর্বমোট :  ১ লাখ ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার পর্যন্ত লাগতে পারে।

২য় ফেজ এর খরচ

সময়: ১ বছর/১২ মাস
বই,খাতা,ও নোট : আনুমানিক ২-৩ হাজার টাকা, সব বই একেবারে কেনা লাগবেনা, আস্তে আস্তে কেনা যাবে,তবে ২য় ফেজেই অনেকে ক্লিনিক্যাল বই কিনে ফেলে সেক্ষেত্রে কিছু খরচ বাড়বে।

ওয়ার্ডের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:

বিপি মেশিন: ১৬০০-২০০০ টাকা
স্টেথোস্কোপ : ১৫০০-৯০০০ টাকা
টিউনিং ফর্ক: ১৫০-২০০ টাকা
হ্যামার : ১৫০-২০০ টাকা
অটি ড্রেস ও সেন্ডেল : ৫০০
ফ্রম ফিলাপ: ৭-১০ হাজার টাকার মত

মাসিক খাওয়া দাওয়া খরচ: 

আনুমানিক ৪০০০ (১২ মাসে ৪৮-৫০ হাজার টাকা), যারা হোস্টেল এ খায়, হোস্টেল এ প্রতি মিল ৫০ টাকা করে, দিনে দুটি মিল ১০০ টাকা, আর ২৫ - ৫০ টাকার নাস্তা।

হোস্টেল ফি: 

সরকারি মেডিকেল কলেজে লাগেনা,যারা আলাদা বাসা/ম্যাচ নিয়ে থাকবে তাদের ক্ষেত্রে সেটা অতিরিক্ত খরচ হবে।

২য় ফেজে সর্বমোট খরচ : 

আনুমানিক ৭০-৮০ হাজার পর্যন্ত লাগতে পারে।

৩য় ফেজ এর খরচ

সময়: ১ বছর/১২ মাস
বই,খাতা,ও নোট : আনুমানিক ৫-৬ হাজার টাকা, সব বই একেবারে কেনা লাগবেনা, আস্তে আস্তে কেনা যাবে।
ওয়ার্ডের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও বই: ২য় ফেজে না কিনে থাকলে এখানে কিনতে হবে।
ফ্রম ফিলাপ: ৭-১০ হাজার টাকার মত

মাসিক খাওয়া দাওয়া খরচ: আনুমানিক ৪০০০ (১২ মাসে ৪৮-৫০ হাজার টাকা), যারা হোস্টেল এ খায়, হোস্টেল এ প্রতি মিল ৫০ টাকা করে, দিনে দুটি মিল ১০০ টাকা, আর ২৫ - ৫০ টাকার নাস্তা।

হোস্টেল ফি: সরকারি মেডিকেল কলেজে লাগেনা,যারা আলাদা বাসা/ম্যাচ নিয়ে থাকবে তাদের ক্ষেত্রে সেটা অতিরিক্ত খরচ হবে।
৩য় ফেজে সর্বমোট : আনুমানিক ৭০-৮০ হাজার পর্যন্ত লাগতে পারে।

চতুর্থ ফেজ / লাস্ট ফেজ এর খরচ

সময়: ১.৫ বছর/১৮ মাস
বই,খাতা,ও নোট : আনুমানিক ৫-৬ হাজার টাকা, সব বই একেবারে কেনা লাগবেনা, আস্তে আস্তে কেনা যাবে।, ক্লিনিক্যাল বই আগে কেনা না থাকলে এ ফেজে নিতেই হবে।

ওয়ার্ডের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও বই: 

২য় /৩য় ফেজে না কিনে থাকলে এখানে কিনতে হবে।
ফ্রম ফিলাপ: ৮-১০ হাজার টাকার মত

মাসিক খাওয়া দাওয়া খরচ: 

আনুমানিক ৪০০০ (১২ মাসে ৭২-৭৫ হাজার টাকা), যারা হোস্টেল এ খায়, হোস্টেল এ প্রতি মিল ৫০ টাকা করে, দিনে দুটি মিল ১০০ টাকা, আর ২৫ - ৫০ টাকার নাস্তা।
হোস্টেল ফি: সরকারি মেডিকেল কলেজে লাগেনা,যারা আলাদা বাসা/ম্যাচ নিয়ে থাকবে তাদের ক্ষেত্রে সেটা অতিরিক্ত খরচ হবে।

চতুর্থ ফেজে / লাস্ট ফেজে সর্বমোট খরচ :

আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার পর্যন্ত লাগতে পারে।

এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করতে মোট খরচ 

এমবিবিএস শেষ করতে, চারটি ফেজে অর্থাৎ পাচ বছরে - আনুমানিক ৪-৪.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে মাঝখানে সাপ্লি খেলে ফ্রম ফিলাপ বাবাদ আরো কিছু বাড়তে পারে,

যাদের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস তাদের জন্যে কিছু পরামর্শ :

যারা খুব দরিদ্র ফ্যামিলি থেকে চান্স পেয়েছেন, এটা শুধু তাদের জন্যে, মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পর, আমিনুল আলম ট্রাস্ট ফান্ড এ বৃত্তির জন্যে এপ্লাই করুন। এছাড়াও ডাচ বাংলা ব্যাংল, ইসলামি ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংক যারা বৃত্তি দিয়ে থাকে খোজ রাখুন ও আবেদন করুন। মেডিকেল এ ভর্তি হওয়ার পরপর সিনিয়র বড় ভাই দের কাছে শেয়ার করে দুই একটা টিউশন ম্যানেজ করে নিন। আপনার যে অনেক দরকার সেটা খুলে বলবেন তাহলে অবশ্যই হেল্প পাবেন,ইগো কে দূরে রাখুন, সিনিয়র বড় ভাই, শিক্ষক সবাইকে সম্মান করুন, তাহলে আপনিও জুনিয়র এর কাছে সম্মান পাবেন। বৃত্তি বা টিউশনি কোনভাবেই ম্যানেজ না করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন, শুরু থেকেই করলে সফলতা আসবেই সেটা টিউশনি হোক অর ফ্রিল্যান্সিং।  তবে স্টুডেন্ট অবস্থায় টিউশনির থেকে ভালো আয়ের উৎস আর হয়না।

যারা ভর্তি পরীক্ষা দিবে, এই টাকাও খরচ করার সামর্থ নেই, তারা এটা ভেবে হতাশ হইয়োনা, আগে চান্স পাও টাকা পয়সা ম্যানেজ হয়ে যাবে, আল্লাহ সব ব্যাবস্থা করে দিবেন।

লেখক :
মোঃ নোমান ইসলাম নিরব
এমবিবিএস, রংপুর মেডিকেল কলেজ
২০১৬-২০১৭ সেশন।


আরও পড়তে পারেন :

Labels: , ,

Sunday, September 19, 2021

নোমান ইসলাম নিরব এর ফ্রিল্যান্সিং এ আসার গল্প

আমার ফ্রিল্যান্সিং এ আসার গল্প

Md Noman Islam Nirob


 ২০২১ সালে শুরু করছি, মেডিকেল সাইন্স এন্ড মেডিকেল নিয়ে লিখালিখি। ফেসবুক ইউটিউব থেকেই সব শিখেছি কোথাও সমস্যা হলেই গুগল সার্চ করেছি, যেটা সমস্যা হয়েছে সেটা গুগল, ফেসবুক এর সহায়তায় শিখে আবার নিজের ওয়েবসাইটে এপ্লাই করেছি।


আমি কোন কিওয়ার্ড রিসার্চ জানিনা এবং করিওনাই, কিন্তু আমার ১০০ টার মত পেজ ১-১০ এর মদ্ধে আছে।করতে পারলে ভালো হত আরো।

আমি অ্যামাজন নিয়ে স্টাডি করিনাই বললেই চলে শুধু একাউন্ট করে কোড প্লেস করতে হয় কিভাবে আর আর্টিকেল রাইটিং এসইও ব্যাসিক ছাড়া কিছুই জানিনা বলা যায়।অন পেজ টা ঠিক রাখি। ব্লগার প্লাটফর্ম আছি এখনো ওয়ার্ডপ্রেস এ যাওয়া হয়নি।আল্লাহর রহমতে ব্লগিং সফলভাবে করতে পারতেছি,  কিছুদিন আগে এডসেন্স এর টাকা দিয়ে এমবিবিএস এর ফ্রম ফিলাপ করি যেটা জীবনের অনেক বড় পাওয়া, নিজের উপার্জন। অ্যামাজন নিয়ে ব্যাসিক ছাড়া কিছুই জানিনা। অ্যামাজন এ ১৮০ দিনের মদ্ধে তিনটা সেল হতে হয় একাউন্ট ভেরিফাই এর জন্যে, (আমার তিনটা এফিলিয়েট আর্টিকেল ১-১০ এর মদ্ধে আছে) আজকে আমার তৃতীয় সেলের অর্ডার হইছে, আশাকরি এটাও ভেরিফাই হয়ে যাবে।

আমি অল্প কিছু করতে পেরেছি, আইটি সেক্টরে অনেক আছে অনেক ইনকাম, আমার ইনকাম আমার নিজের পকেট খরচ থেকেও অনেক কম।
তবুও আমি আশাবাদী আমি যতটুকু করেছি ততটুকুতে আমি ভালোভাবেই সফল হয়েছি। আমার এক্সপেক্টেশনের থেকে অনেক বেশি পেয়েছি।

যারা নতুন অলস সময় কাটায়,অযথা ফেসবুকে, টিকটকে, গেম এগুলো সময় না দিয়ে কিছু প্রোডাক্টিভ কিছু কর, সুদিন আসবেই তোমারও ইনশাআল্লাহ।

নিউ ব্লগিং এ যারা আসবেন তাদের জন্যে আমার কিছু পরামর্শ :
1. প্রচুর স্টাডি কর, ব্যাসিক শিখে নিজের ওয়েবসাইটে এপ্লাই করতে থাকো
2. প্রথমেই ইনকাম এর দিকে ফোকাস না করে ব্রান্ড বাড়াও
3. শুরুতে এডসেন্স এপ্রুভ থাকলেও ইনকাম হবেনা, ডেলি ট্রাফিক আনো আগো,তারপর এডসেন্স ও হয়ে যাবে।
4. অন্যের কস্ট করে লেখা কপি না করে নিজে স্টাডি করে লিখ,এতে নিজেত জ্ঞানের পরিধি ও বাড়বে,ভালো ফলাফল ও পাবে।
5. যেই বিষয়ে তুমি সারাজীবন লিখে যেতে পারবা, এবং সারাজীবন পড়তে পারবা সেটাই তোমার নিশ হিসেবে নিলে ভালো করতে পারবে, আমি যেমন মেডিকেল সাইন্স নিয়েছে কেননা আমি মেডিকেল স্টুডেন্ট, এ বিষয়ে আমি লিখতে পারবো,আমি কিন্তু এসইও নিশে কিছুই পারবোনা,চেস্টা করলে হয়তো ১০/১২ টা আর্টিকেল লিখার পর এনার্জি লস হয়ে যেতে পারে।
6. যেই আর্টিকেল লিখবে সেই বিষয়ে ৩০/৪০ আর্টিকেল পড়েফেল  তারপর তোমার টা সবার থেকে বেস্ট করে লেখ, আর্টিকেল রেংক করতে বাধ্য। অনেক জায়ান্ট কিছু ওয়েবসাইট এর সাথে আমার ৩/৪ টা আর্টিকেল পাল্লা দিছে এটা ফলো করায়।
7. আমার সব কাজ গুলো জাস্ট একটা ৩জিবি রেমের ফোন দিয়ে করেছি,তাই যাদের ল্যাপটপ বা পিসি নেই সেটা কখনো থেমে থাকার কারন হতে পারেনা। মোবাইল দিয়েই শুরু কর, এডসেন্স বা এফিলিয়েট এর টাকা দিয়ে পিসি/ল্যাপটপ কিনে নিতে পারবে।

মো: নোমান ইসলাম নিরব
এমবিবিএস স্টুডেন্ট, রংপুর মেডিকেল কলেজ

Labels:

Saturday, June 19, 2021

অপিরিমিত ভাবে গরম করা খাবারে হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুকি

গরম ভাতে  হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থঝুকি


রান্না করা থেকে ১ ঘন্টা পর্যন্ত গরম ভাত ভালো থাকে, ১ ঘন্টা পার হলে সেখানে ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামক ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে থাকে, সেই ভাত পুনরায় গরম করে খেলে হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকি। এটি শুধু ভাত এর বেলায় নয় মাংস, দুধ, পাস্তা এছাড়াও যেকোন শর্করা জাতীয় খাবার (ভাত,ফ্রাইড রাইস) এর বেলায় প্রযোজ্য।

ফুডপয়সনিং এ যেভাবে কাজ করে ব্যাকটেরিয়া ও টক্সিন :

খাবার রান্নার ১ ঘন্টা পর থেকে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়, ব্যাকটেরিয়ার সিস্ট এ থাকে দু ধরনের টক্সিন (Toxin A and Toxin B), খাবার অপরিমিত তাপমাত্রায় গরম করার ফলে সিস্ট রাপ্টার হয়ে টক্সিন রিলিজ হয়। এ টক্সিন খাদ্যনালীর ইরিটেশন ঘটায়।


লক্ষণঃ

১)খাওয়ার ৩০ মিনিট থেকে ৬ ঘন্টার মদ্ধে প্রজেক্টাইল ভমিটিং হতে পারে
২) ৬ ঘন্টা পর থেকে ডায়রিয়া শুরু হবে।
৩) ২৪ ঘন্টা পর ভালো হয়ে যাবে তবে যাদের ইমিউনিটি দুর্বল তাদের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে।

প্রতিরোধে উপায়:
১)রান্না করার ১ ঘন্টার মদ্ধে খেয়ে ফেলুন
২)অতিরিক্ত ভাত ফ্রিজে চল্লিশ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর নিচের তাপমাত্রায় রাখুন।
৩) অপরিমিত ভাবেগরম করে খাবেন না, এতে ব্যাকটেরিয়ার বিষ্ক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪)১৬৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর উপর গরম করতে হবে। বড় বড় দলা গুলো ভেংগে দিতে হবে এবং ভাতের মাঝখানে ও যেন গরম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫) ফ্রিজ ভাত দুই দিনের বেশি রাখা যাবেনা।

ব্যাকটেরিয়াল ফুড পয়জনিং

Labels: ,

Sunday, April 18, 2021

রোজা ও ডায়বেটিস নির্দেশনা : রমজানে ডায়বেটিস রোগী কি কি খেতে পারবে জেনে নিন

ডায়বেটিস ও রোজা নিয়ে নির্দেশনা ২০২১

রমজান মাসে একজন ডায়াবেটিস রোগীর কী খাওয়া বা খাওয়া উচিত?


আজকের বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মুসলমান রমজান মাসের চন্দ্র মাসে রোজা রাখে। রমজানে খাবার ও পানীয়ের পরিমাণ এবং সময় পরিবর্তনের কারণে একজন ডায়াবেটিস রোগী বিভিন্ন ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারেন। যেমন হাইপোগ্লাইসেমিয়া (নিম্ন রক্তে গ্লুকোজ স্তর) বা হাইপারগ্লাইসেমিয়া (উচ্চ রক্তে গ্লুকোজ স্তর), ডিহাইড্রেশন। যদি আপনার রক্তে গ্লুকোজ স্তর / ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে রোজা আপনার পক্ষে নিরাপদ। কিছু সতর্কতা রয়েছে যা আপনাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। উদাহরন স্বরূপ:
1. সেহরি অবশ্যই করতে হবে তবে একেবারে শেষ মুহুর্তে সেহরি করে নেওয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি সেহরি রাত ৩:২০ থেকে শুরু হয় এবং ভোর ৫:১০ এ শেষ হয়, তবে আপনার ৪:৪০ থেকে ৫:১০ এ খাওয়া উচিত।
2. রামদানের সময় রোজা ভাঙার জন্য খাবারের সময় উচ্চ শর্করা উপাদানযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
3. রাতের খাবার শেষে দেরিতে একটি উপযুক্ত নাস্তা খান।
4. রামদানের সময় প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস জল পান করুন।
5. এন্ডোক্রাইনোলজিস্টে অথবা হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ এবং ইনসুলিন শট নিন।
6. রোযা রাখেন না রাখবেন না তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন ও শরীর চেক আপ করে নিন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রোজা রাখা নিরাপদ কি?
নিয়ন্ত্রনে রয়েছে টাইপ 2 ডায়াবেটিস মেলিটাসে এ রোজা রাখা নিরাপদ তবে টাইপ 1 ডায়াবেটিস মেলিটাসে নিরাপদ নয়। অনিয়ন্ত্রিত যেকোন ডায়বেটিস এ রোযা রাখা নিরাপদ নয়। এছাড়াও ডায়বেটিস এর সাথে যারা অন্যান্য কম্পলিকেশন রয়েছে, নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয় তাদের জন্যে রোযা রাখা নিরাপদ। যেসকল রোগীর হঠাৎ করে ব্লাড সুগার নিচে নেমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া ডেভলপ করে, তাদের জন্যে ডায়বেটিস নিয়ে রোযা রাখা নিরাপদ নয়।

ডায়বেটিস নিয়ে রমাজানের রোজায় কারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে

রমজান শুরুর আগে তিন মাসের মধ্যে অত্যধিক নিম্ন মাত্রার রক্তের গ্লুকোজ, প্রায়শই রক্তের গ্লুকোজ হ্রাস করার প্রবণতা সহ,অজ্ঞান হওয়ার ইতিহাস এবং রমজানের শুরুর তিন মাসের মধ্যে উচ্চ অ্যাসিডিটি রোজা হওয়ার আগে যদি অতীত ঘটনাগুলি থাকে তবে ঐসব রোগীদের জন্যে রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া, রমজান শুরুর তিন মাস আগে বা আপনি গর্ভবতী হয়ে থাকলে রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে গেলে রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু তাই নয়, যারা অতিরিক্ত শারিরীক পরিশ্রম করেন যেমন শ্রমিক, রিকশা চালক, গৃহকর্মী, কিডনি রোগী (যাদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হয়), ডায়াবেটিস জটিলতায় আক্রান্ত অসুস্থ এবং বয়স্ক রোগীদের ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে, অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা - জ্বর, ডায়রিয়া ইত্যাদি। তবে তাদের জন্যেওবরোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রমজানে রোজা না রাখাই ভাল। যদি কেউ রোজা রাখতে চায় তবে তাকে অবশ্যই ডাক্তারের অনুমতি নিতে হবে।

ডায়বেটিস রোগিদের রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে করণীয়:


চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে রক্তের শর্করা, রক্তচাপ এবং রক্তের ফ্যাট এর স্তরগুলি পরিমাপ করে ডায়বেটিস সহ অনিয়ন্ত্রিত স্তর নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা উচিত। রমজান খাবারের পরিমাণ,খাদ্য তালিকা এবং সময়সূচি, ওষুধ এবং ইনসুলিনের পরিমাণ ডাক্তার দ্বারা ভালভাবে বুঝে নেওয়া উচিত।

ডায়বেটিস রোগিদের রমজানে করণীয়:
ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই রমজানে খাওয়া-দাওয়া সম্পর্কে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। এটি রমজান মাসে সাধারণত তিনবার খাওয়া হয়। তা হ'ল ইফতার, ডিনার এবং সেহেরি।

ইফতার কেমন হবে?
শরবত হ'ল খুব গুরুত্বপূর্ণ পানীয় যা ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে এবং দেহের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে। ইসুবগুল, টোকমা, লিচু, কাঁচা আম কাদবেল তামারিন্ড সিরাপ বিকল্প চিনি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। অথবা একটি ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে।
সাধারণ ইফতার এর কি কি রাখা যায় তার একটি নমুনা:
ভাজা ছোলা - ১/২ কাপ,
পেঁয়াজু -২ পিছ,
বেগুনি ২ পিছ,
মুরি- দেড় কাপ,
খেজুর- ১ পিছ,
শসা, গাজর ইত্যাদি ইচ্ছামতো।
পানির পরিমাণ পরিমাণ মত।

ইফতার এর পরে অর্থাৎ রাতের খাবার

ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে রাতের খাবারটি একেবারেই বাদ দেওয়া উচিত নয়। এই খাবারটি অন্য সময়ের রাতের খাবারের সমান হবে। রাত হলে ভাত/রুটি খাওয়া যায়। তবে প্রত্যেকের নিজের বরাদ্দ অনুযায়ী খাবারের পরিমাণের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।রাতে হালকা মশলা দিয়ে যে কোনও ছোট এবং বড় মাছ এবং শাকসব্জি রান্না করা ভাল।

সেহরির খাবার কেমন হবে?
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সেহেরির শেষ মুহুর্তে সেহেরি খাওয়া ভালো সময়। এটি দিনের শেষে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি হ্রাস করবে। সেহরিতে রুটি বা ভাত পছন্দ মতো নেওয়া যায়। সেহেরি অন্যান্য দিনের দুপুরের খাবারের মতো একই পরিমাণে খাওয়া উচিত,। মাংসের পরিবর্তে ডিম খাওয়া যেতে পারে। এক কাপ দুধ সেহরিতে খাওয়া যায়।

লেখক:
নোমান ইসলাম নিরব
এমবিবিএস, রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর, ব্লগার ও প্রতিষ্ঠাতা Doctors Gang. 

Tuesday, April 6, 2021

মেডিকেলে এমবিবিএস ১ম বর্ষের জন্যে যেসব বই পড়তে হবে

এমবিবিএস ১ম বর্ষের জন্যে যেসব বই পড়তে হয় 

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ার পর, এমবিবিএস ১ম বর্ষে ভর্তি হলেই, শুরু চিকিৎসক হওয়ার নতুন যাত্রা। এ যাত্রায় মেডিকেল ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বইব পড়তে হয় তার মধ্যে তিনটি মেজর বই।

  1. অ্যানাটমি 
  2. ফিজিওলজি 
  3. বায়োকেমিস্ট্রি 
এই বই গুলোর আরো অনেক বই রয়েছে এগুলো জানতে নিচের ভিডিও টি দেখে নিন।অন্যদিন সময় করে আরো বিস্তারিত লিখবো।






লিখেছেন: নোমান ইসলাম নিরব 

Labels: , ,

প্রাইভেট মেডিকেল নিয়ে যেসব প্রশ্ন কমনলি করা হয় : চলুন জেনে নিই

প্রাইভেট মেডিকেল নিয়ে যেসব প্রশ্ন কমনলি করা হয়

প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ পড়ার খরচ নিয়ে বলেছেন - নোমান ইসলাম নিরব


এবার এমবিবিএস কোর্স এর ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে প্রায় ৪৯,৯৭৫ জন এর কাছাকাছি স্টুডেন্টস।

বেসরকারি মেডিকেল কলেযে সিট আছে ৬ হাজার এর মত সিট রয়েছে। তার মধ্যে ২০০০-২৫০০ বিদেশি স্টুডেন্ট ভর্তি হয়।তাহলে দেশীয় স্টুডেন্টস এর জন্য ৩৫০০-৪০০০ এর মত সিট রয়েছে।
তাই সবাই চাইলেও প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেনা এজন্যে নিজের পয়েন্ট বিবেচনা করে ফরম তুলবে।যেটাতে পসিবল না সেটার পিছনে ঘুরাঘুরি করে সময় নস্ট করলে পরে সিট ই পাওয়া যাবেনা কোথায়। তাই স্কোর দিয়ে যে গুলোতে পসিবল সে গুলোতে ফরম তুলবে। আমার পরামর্শ থাকবে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ টা মেডিকেল থেকে ফরম তুলবে।সম্ভব হলে আরো বেশি ফ্রম তুলতে পারো। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি নিয়ে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট অথবা ইনবক্স করতে পারো।

প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ নিয়ে যেসব প্রশ্ন বারবার করা হয় 

প্রশ্ন ১ঃ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে কি আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হয়?
উত্তরঃ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্যে আলাদা কোন ভর্তি পরীক্ষা হয় না। সরকারি মেডিকেলের জন্য যে ভর্তি পরীক্ষা হয় সেই রেজাল্ট থেকে ভর্তি করা হয়। সরকারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অর্থাৎ ৪০ মার্ক্স পেতেই হবে, না হলে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ভর্তি হওয়া যাবেনা, মার্ক্স যত ভালো হবে তত ভালো প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবে।

প্রশ্ন ২ঃ কত মার্ক পেলে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবো?
উত্তরঃ মেডিকেল এডমিশন টেস্ট এ মিনিমাম 40 মার্ক পেলে ভর্তি হতে পারবে,তবে মার্ক যত ভালো হবে, তত উপরের সারির মেডিকেল গুলাতে ভর্তির সুযোগ ততো বেশি থাকে।

প্রশ্ন ৩ঃ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে বর্তমান আসন সংখ্যা কত?
উত্তরঃ 7300 এর মত।

প্রশ্ন ৪ঃ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়তে খরচ কত হয়?
উত্তরঃ সর্বমোট 24 থেকে 26 লাখ টাকা খরচ হয়, তবে এর থেকে বেশি খরচ হাতে মানুষ ভেদে।

প্রশ্ন ৫ঃপ্রাইভেট মেডিকেলে দরিদ্র ও মেধাবী কোটা কি?
উত্তরঃ প্রতিটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এ ৫% দরিদ্র ও মেধাবী কোটায় ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্নঃবেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়তে ভর্তি ফি কত হয়?
উত্তরঃ বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি ফি 18/19 লক্ষ টাকা। প্রতি মাসে মাসিক বেতন 8 থেকে 10 হাজার টাকা। সুতরাং ৫ বছরে মোট খরচ 4 লক্ষ 80 হাজার থেকে 6 লক্ষ টাকা। চারটা প্রফেশনাল পরীক্ষায় ফ্রম ফিলাপ ফি সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকা। বই-খাতা ও অন্যান্য খরচ বাবদ সর্বোচ্চ 1 লক্ষ টাকা।
সর্বমোট 24 থেকে 26 লক্ষ টাকা।

তবে যাদের মেরিট পেছনের দিকে থাকে তাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি খরচ হতে পারে।

প্রাইভেট মেডিকেলে ফর্ম বিতরণ ও ভর্তি প্রক্রিয়াঃ


প্রাইভেট মেডিকেলে আসন 6000 এর মত। এর বিপরীতে ভর্তিযোগ্য প্রার্থী ৪৮ ৯৭৫ জন।
সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি ফরম বিতরণ শুরু হবে। এই ফরমের সাথে কোটার ফরম ও তুলতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে কোটার ভর্তি প্রক্রিয়া সব শেষে শুরু হবে।
স্ব স্ব মেডিকেল কলেজ তাদের আসন সংখ্যা উল্লেখ করে মেডিকেল কলেজের নোটিশ বোর্ড, ওয়েবসাইটে এবং দৈনিক পত্রিকায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। ফর্ম কেনার পর যাবতীয় তথ্যাদি পূরণ করে ফর্ম জমা দিতে হয় ঐ মেডিকেলে। ফর্মের সাথে মেডিকেল অ্যাডমিশন রেজাল্টের কাগজ, এসএসসি, এইচএসসির মার্কশিট, সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে । ফর্ম বিক্রির পর শুরু হয় নির্বাচনী প্রক্রিয়া।ফর্ম জমা নেয়ার পর কয়দিন পর কলেজের নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হয় ঐ সব নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের নাম ও রোল। ফোন করে জানানো হয় সবাইকে। ১/২ দিনের মাঝে টাকা জমা নিয়ে ভর্তি করানো হয় যদি নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের তালিকায় আপনার নাম থাকে। ভর্তির সময় টাকার সাথে আপনার এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট রেখে দেয়া হবে আপনার মেডিকেলে। এবার এডমিশনে অনেক চাপ। অনেক সময়, মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্টের রেজাল্টের সিরিয়াল পেছনে থাকলে আপনি ১-২টি মেডিকেলে নির্বাচিত নাও হতে পারেন ভর্তির জন্য। যত বেশী মেডিকেলের ফর্ম তুলবেন, ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকে । তবে লোভের বশবর্তী হয়ে ভর্তিতে বেশি দেরি করে ফেলোনা আবার তখন সিটের অভাবে ভালো স্কোর নিয়েও দেখা যাবে আর মেডিকেলে পড়া হচ্ছেনা।

এখানে কোন ভুল থাকলে অবশ্যই জানাবেন।
আরো কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানান, আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। 

Labels:

Monday, April 5, 2021

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স না পেলে কি করবে | কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যে প্রস্তুতি নিবে

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা চান্স না পেলে তুমি কি করবে : চলুন জেনে নেই 

মেডিকেলে চান্স না পেলে তুমি যেসব ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে?
এ বিষয় নিয়েই আজকে আমার এই আর্টিকেল।

মেডিকেল প্রিপারেশন দিয়েই যেসব জায়গায় পরীক্ষা দিতে পারো

  1. ডেন্টাল কলেজ
  2. এএফএমসি (আর্মি মেডিকেল কলেজ) 
  3. সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
  4. জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ডি ইউনিট(বায়োলজি ফ্যাকাল্টি) 
  5. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিট(বায়োলজি ফ্যাকাল্টি) 
  6. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ও ঘ ইউনিট
  7. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

উপরোক্ত জায়গায় পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করে নাও, তুমি অযোগ্য নও, আল্লাহ হয়ত তোমাকে ডাক্তার হিসেবে কবুল করেনি,হয়ত অন্য কোথায় তোমার জন্যে বেস্ট কিছু রয়েছে।

উপরোক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর জন্যে কিভাবে পারতে হয় তার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন আমার ওয়েবসাইটে :

সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে যেসব পড়তে হবে
নেটওয়ার্ক গাইড
বিগত সালের প্রশ্ন
বায়োলজি মেডিকেল প্রিপারেশন ই যথেষ্ট
কেমিস্ট্রি মেডিকেল প্রিপারেশন ই যথেষ্ট
উচ্চতর গণিত ঃ সরলরেখা,বিন্যাস, সমাবেশ,অন্তরিকরণ, স্থিতিবিদ্যা,কৌনিক ও দ্বিপদী বিসতৃতি।

পদার্থ বিজ্ঞান : প্রতিটি মূল বইয়ের শেষে যে গাণিতিক এমসিকিউ থাকে সেগুলো ভালো করে সলভ করবে, কেননা পদার্থ বিজ্ঞানের ২০ টি প্রশ্নের মাঝে ১০-১৫ টি হয় ম্যাথ।

ডেন্টাল (বিডিএস) এডমিশন 

ডেন্টাল এডমিশন এর জন্যে যেসব পড়তে হবে
1. মেডিকেল

জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে যেসব পড়তে হবে
1. মেডিকেল প্রিপারেশন ই যথেষ্ট
2. বিগত সালের প্রশ্ন
3. আইকিউ
ডি ইউনিটের মার্ক ডিস্টিবিউশন-
উদ্ভিদবিজ্ঞান-২২
প্রাণীবিজ্ঞান-২২
রসায়ন-২৪
বাংলা ও ইংরেজি-৮
আইকিউ-৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটএর জন্যে যেসব পড়তে হবে
1. মেডিকেল প্রিপারেশন ই যথেষ্ট
2. বিগত সালের প্রশ্ন 




(এই লেখাটির কাজ চলতেছে তিনদিন পরে সম্পুর্ন হবে)

আপনাদের কোন কিছু প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন, আমি সময়মত উত্তর দিবো।বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

লেখক:
নোমান ইসলাম নিরব 
রংপুর মেডিকেল কলেজ 




Labels: , ,